Logo

আন্তর্জাতিক    >>   কঠোর অভিবাসন বিরোধী আইনে ট্রাম্প প্রশাসন

কঠোর অভিবাসন বিরোধী আইনে ট্রাম্প প্রশাসন

কঠোর অভিবাসন বিরোধী আইনে ট্রাম্প প্রশাসন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী ক্র্যাকডাউনে অবৈধ অভিবাসীদের সাথে গ্রীন কার্ডধারীরাও পড়েছেন চরম দু:শ্চিন্তায় ।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বৈধ গ্রীন কার্ডধারী ও ভিসাধারী একাধিক ব্যক্তিদের বহিষ্কারের উদ্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও এয়ারপোর্ট থেকে  চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীকে গ্রীন কার্ডসহ ডিপোর্ট করার ঘটনায় দু:শ্চিন্তার কালো মেঘ ধেয়ে আসছে। সেই সাথে রাজনৈতিক আশ্রয় বা এসাইলামের মাধ্যমে বৈধ হওয়া কেইসগুলো পুনরায় রিভিউয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন। 

আমেরিকার অভিবাসন নীতির কিছু আইন যা আগের প্রেসিডেন্টদের প্রশাসন শিথিল রেখেছিলো। কিন্তু বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন এসব আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করেছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়াও আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি কিংবা জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলে যে কেউ বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার হতে পারেন। বর্তমানে সরকার প্রশাসন বিরোধী কোন কিছু করলেই ইমিগ্যান্টরা বিপাকে পড়তে পারেন। গ্রীনকার্ডধারী ব্যক্তিদের এসময় বিশেষ সতর্কতার অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘসময় ধরে দেশের বাইরে ভ্রমণ বা অবস্থান না করা পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোন গ্রীণকার্ডধারীর কার্ড বাতিল করার আইন আছে।

এ বিষয়ে এটর্নি মীর মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের জন্য খুবই কঠোর অবস্থানে নিয়েছেন। অবৈধদের সাথে সাথে বৈধ গ্রীন কার্ডধারীকেও ইমিগ্রেশন আইনের মুখোমুখি হতে পারে। এমেন্ডমেন্ট রাইটস নিয়ে যে কেউ এদেশে থেকে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু এখন সেটা আর সেই সুযোগ নেই। এখন আমেরিকা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বিপাকে পড়তে পারেন যে কেউ। এদেশের পররাষ্ট্র নীতি কিংবা জাতীয় নিরপত্তার হুমকি এমন কিছু কাজ বা কোন মতামত প্রকাশ করলে যেকোন বৈধ অভিবাসী ইমিগ্রেশন আইনের মাধ্যমে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। আমেরিকা কর্তৃক যেকোন দেশের কোন গোষ্ঠি বা ব্যক্তিকে জঙ্গী ও উগ্রবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার পর তার পক্ষে কেউ সামান্যতম পক্ষপাতিত্ব করলে তার গ্রীনকার্ড কিংবা সিটিজেনশীপ বাতিল হতে পারে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করতে পারে প্রশাসন।