Logo

খেলাধুলা    >>   হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে সিমন্সকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ

হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে সিমন্সকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ

হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে সিমন্সকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের আগে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন।

হাথুরুসিংহে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে আপাতত শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। তার স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সকে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, পরবর্তীতে হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাই করা হবে।

ফারুক আহমেদ বলেন, "বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার আচরণ, যেমন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের গায়ে হাত তোলা এবং ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানোর মতো ঘটনাগুলো দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।"

হাথুরুসিংহে ২০১৪ সালে প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন, তবে মাঝপথে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। ২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার সঙ্গে ৩৫ হাজার ডলারের চুক্তি হয়েছিল, যার মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ পূরণ না করেই তাকে বরখাস্ত করা হলো।

দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুর অধীনে বাংলাদেশ ১০টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে এবং ৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। টেস্টে ফল ছিল ৫ জয় এবং ৫ হার। তবে ওয়ানডেতে ফলাফল হতাশাজনক ছিল, যেখানে ৩৫ ম্যাচে ১৩টি জয় এবং ১৯টি হার হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৩৫ ম্যাচের মধ্যে ১৯টিতে জয় পেয়েছে। 

হাথুরসিংহে নিয়ে পুরোনো দ্বন্দ্ব নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ২০১৬ সালে দলের নির্বাচনে হাথুরুর হস্তক্ষেপের কারণে ফারুক প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে যান। ফারুক আগের দায়িত্ব গ্রহণের পর হাথুরুকে বাংলাদেশ দলে না রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

হাথুরসিংহে, যিনি প্রথম মেয়াদেও বিসিবি সভাপতিকে ‘ম্যানেজ’ করে চলতেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর তার দায় এড়াতে পারেনি বিসিবি। ফারুক মনে করেন, হাথুরু দেশের ক্রিকেটের কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছেন।