Logo

অর্থনীতি    >>   কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল: সরকারের নতুন পদক্ষেপ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল: সরকারের নতুন পদক্ষেপ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল: সরকারের নতুন পদক্ষেপ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সোমবার একটি আদেশ জারির মাধ্যমে কার্যকর করে। এই চুক্তিটি চলতি বছরের ৩০ মার্চ সামিট গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ আইনের আওতায় কোনোরকম দরপত্র ছাড়াই সম্পাদিত হয়েছিল।

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, চুক্তিটি বাতিল করার আদেশ সই করেছেন সচিব রুচিরা ইসলাম। উল্লেখ্য, এই চুক্তির অধীনে সামিট গ্রুপ ২০২৬ সালের শেষে প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মহেশখালীতে ইতোমধ্যে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে, এর মধ্যে একটি সামিট গ্রুপের। নতুন টার্মিনালটি ছিল বাংলাদেশের তৃতীয় এবং সামিটের দ্বিতীয় মালিকানাধীন টার্মিনাল।

সম্প্রতি সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে সরকার। দুর্নীতির কারণে চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সামিট গ্রুপ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এফএসআরইউ টার্মিনাল ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েছে এবং এটি অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে। তারা পর্যালোচনার জন্য আপিল করার পরিকল্পনা করছে। সামিট গ্রুপের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ রয়েছে।

সামিট গ্রুপের প্রথম এলএনজি টার্মিনালটি ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল, যা মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত। এই টার্মিনাল দিনে ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজির রিগ্যাসিফিকেশন করে সরবরাহ করতে সক্ষম। তাদের দ্বিতীয় টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সরকারের নতুন পদক্ষেপে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত দেশের জ্বালানি খাতে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert