Logo

অপরাধ    >>   জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে প্রায় চার লাখ আবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। এদিকে, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযানে এনআইডি সংক্রান্ত সেবায় ঘুষ লেনদেনের বিশাল নেটওয়ার্কের প্রমাণ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে দুই দালালকে আটক করে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, "জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক জানান, সংশোধন যোগ্য লাখ লাখ এনআইডি পড়ে থাকায় এর সুযোগ নিয়েছেন দালাল থেকে শুরু করে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব সমাধানের আশ্বাস দেন।"

তিনি আরও বলেন, "ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে কমিশনের কেউ জড়িত প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

এদিকে, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও (এনআইডি) বিভিন্ন সেবায় হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুপুরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুদকের একটি টিম অভিযানে যায়। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আসিফ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে কার্যালয়ে প্রবেশের আগে তারা রেকি করেন। দুদক জানিয়েছে, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দফতরে অভিযানে নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। এনআইডি সংক্রান্ত সেবায় ঘুষ লেনদেনের বিশাল নেটওয়ার্কের প্রমাণ পায় দুদক।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন ও ভূমি অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান চালায় দুদক।

আজ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন, স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রিন্টসহ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত অন্যান্য সেবার নামে কোটি কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর অভিযানে দুদক। অভিযানে দুই দালালকে আটক করে।