Logo

অর্থনীতি    >>   কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ব্যর্থ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ব্যর্থ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ব্যর্থ ডাকাতি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় অবস্থিত রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঘটেছিল অভাবনীয় এক ঘটনা। মধ্যদুপুরে সংঘবদ্ধ এক ডাকাতদল ব্যাংকে প্রবেশ করে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। পুরো এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়া এ ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ব্যাংকে প্রবেশের পর উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকদের জিম্মি করে ফেলে। তবে তাদের পরিকল্পনা দ্রুত ভেস্তে যায়। ব্যাংকের প্রধান ফটক বাইরে থেকে তালা মেরে আটকে দেওয়া হলে ডাকাতরা ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে।

পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর ডাকাতদল আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজনের নাম লিয়ন মোল্লা, আরাফাত ও সিফাত। তারা খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে রোমাঞ্চের নেশায় এবং মূল্যবান একটি আইফোন কেনার উদ্দেশ্যে এ ডাকাতি পরিকল্পনা করেছিল।

ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় দস্যুতার মামলা দায়ের করেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেফতার তিনজনকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

এই ঘটনার পর থেকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন একটি ঘটনা তাদের কল্পনার বাইরে ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে।

ঘটনার পর চুনকুটিয়া এলাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম। এলাকাবাসী ভয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ব্যাংকটিতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে ডাকাতির চেষ্টাটি ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত। ডাকাত দলের সদস্যরা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই এ পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রোমাঞ্চ অনুভব করা এবং দামি আইফোন কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।

এ ঘটনার পর স্থানীয় ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন।

পুলিশ ও যৌথ বাহিনী এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা কঠোর নজরদারি বজায় রাখবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।