Logo

রাজনীতি    >>   অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকাল ১০টায় বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ভাষণের শুরুতে তিনি দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং এদিন জাতির জন্য গুরুত্ব পূর্ণ নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। প্রথমে সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটি একটি কঠিন কাজ, বিশেষ করে গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকা এবং ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ না হওয়া। গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হবার যোগ্য হয়েছে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে হবে। এখন দীর্ঘদিন পর বহু তরুণ-তরুণী প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতের অযোগ্যতাকে শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে।”

তিনি বলেন, “যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করা হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।”

এছাড়াও, প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি একটি পুরোনো প্রতিশ্রুতি, যা এই সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো বাস্তবায়ন করা হবে।” অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি ছিল। গত চার মাসে এই অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আর কোনো ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখনো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়া গেলেও আমরা বাজারে দাম কমিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

আজ সকাল সোয়া ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অধ্যাপক ইউনূস। এই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়।

তিনি আরও বলেন, “আগামী ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” এই পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।