এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই পদত্যাগ করবেন
- By Jamini Roy --
- 12 December, 2024
মার্কিন ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার রে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, এফবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রে এই ঘোষণা দেন।
ক্রিস্টোফার রে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিবেচনা করার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, এফবিআই এবং নিজের জন্য এটি সঠিক পদক্ষেপ। "আমার দৃষ্টিতে, ব্যুরোকে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলায় জড়ানো এড়াতে এটাই সেরা উপায়," বলেন তিনি।
রিপাবলিকানদের সমালোচনার মুখে থাকা রে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ১০ বছরের জন্য এফবিআই পরিচালকের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের পর এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ায় তিনি রিপাবলিকানদের আস্থা হারান।
বর্তমানে ট্রাম্প কাশ প্যাটেলকে নতুন এফবিআই পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্যাটেল এফবিআইয়ের কার্যক্রম "নাটকীয়ভাবে সীমিত" করার আহ্বান জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর প্যাটেল এফবিআই প্রধানের পদে যোগ দেবেন।
এফবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে রে বলেন, "ব্যুরোর জন্য আমার দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন জানুয়ারির প্রশাসনিক সময়সীমা পর্যন্ত। তারপর আমি পদত্যাগ করব।" তিনি আরও জানান, নিজের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ব্যুরোকে কোনো অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিতে না ফেলার জন্যই নেওয়া।
ট্রাম্পের মনোনীত এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল সংস্থাটির ক্ষমতা কমানোর পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সংস্থাটিকে আরও সরলীকৃত এবং কার্যকর করে তোলা সম্ভব। অন্যদিকে ট্রাম্পও বারবার এফবিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন, যা এ সংস্থার প্রতি রিপাবলিকানদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ক্রিস্টোফার রে-এর পদত্যাগকে মার্কিন রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং এফবিআইয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তি পরিবর্তনের প্রভাব ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দ্বন্দ্ব এবং উত্তেজনার সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।