Logo

রাজনীতি    >>   অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টা: নাহিদ ইসলাম

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টা: নাহিদ ইসলাম

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টা: নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্স (জিপিজি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ ও লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, যা বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি। বিশ্ব ইতিহাসেও এটি একটি বিরল ঘটনা। আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে কাজ করছি, যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আমাদের সচেতন হতে হচ্ছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিক সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

স্কটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লর্ড জেরিমাই পুরভিস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের সরকারের জন্য অভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং গণহত্যার বিচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার মাট চার্টার জানতে চান, কোন কোন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, “মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আমাদের অগ্রাধিকার।”

চিলির সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জর্জিও জ্যাকসনের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং চায় এই সংস্কার তাদের অধীনে হোক। ফলে তারা সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সরকার নিয়ে অপপ্রচার চলছে। গণঅভ্যুত্থানকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হচ্ছে। দেশে এবং বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ এই অভ্যুত্থান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতনের প্রতিফলন।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘদিন মানবাধিকার সংকট বিরাজ করছিল। মানুষ ভোট দিতে পারত না, গুমের শিকার হতো। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো মানবাধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।”

জিপিজি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। বৈঠকের সমাপ্তিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”