Logo

অর্থনীতি    >>   নিত্যপণ্যের বাজার ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

নিত্যপণ্যের বাজার ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

নিত্যপণ্যের বাজার ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দেশের বাজার পরিস্থিতি এবং পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও পাঠ্যপুস্তকের সরবরাহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজার ব্যবস্থার স্বাভাবিক নিয়মে দ্রব্যের দাম একসঙ্গে কমে না, তবে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা এসেছে। তিনি বলেন, "বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফল এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।"

বৈঠকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল এবং ভোজ্যতেল ক্রয় অনুমোদনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিয়ে উপদেষ্টা জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির বই ছাপানোর অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সব শ্রেণির নতুন পাঠ্যপুস্তক পহেলা জানুয়ারিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, "বই সরবরাহের জন্য কার্যক্রম চলছে, তবে কিছু সময় প্রয়োজন।"

উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার পাঠ্যপুস্তকের ঘাটতি পূরণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে সরবরাহের সময়কাল নির্ভর করবে ছাপানো এবং বিতরণের প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর।

বৈঠকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল এবং ভোজ্যতেল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় কমিটি। এই উদ্যোগের লক্ষ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখা।

সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে যথাসময়ে বই পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।