Logo

রাজনীতি    >>   রিজভী: ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও পাশের দেশে গণতন্ত্র চায় না

রিজভী: ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও পাশের দেশে গণতন্ত্র চায় না

রিজভী: ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও পাশের দেশে গণতন্ত্র চায় না

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে, বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকার টু আগরতলা লংমার্চ শুরু করার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, "ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও, তারা আশেপাশের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ দেখতে চায় না। যদি ভারত চট্টগ্রাম দাবি করে, তাহলে আমরাও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা দাবি করব। চট্টগ্রাম দখল করতে আসলে আমরাও চুপ থাকব না।"

তিনি আরও বলেন, "পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তা দিল্লির কাছে বিক্রি করব না।" রিজভী ভারতীয় শাসকদের উদ্দেশে বলেন, "লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিয়ে তারা যে কাজ করেছে, তা জনগণের জন্য ক্ষতিকর।" তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "আমরা পুরো বাংলাদেশ বলতে চাই, সারা বিশ্বের মানুষ জানুক আমরা স্বাধীন দেশ।"

বিএনপির এই লংমার্চ প্রতিবাদ করেছে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। লংমার্চের সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করবে না এবং সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, "পতাকা এবং ভূমি রক্ষার জন্য নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকবে।" তিনি ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না বলে উল্লেখ করেন। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, "স্বাধীনতার জন্য কোনো আপস হবে না, আমরা মাঠে থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকব।"

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, "শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছিল, কিন্তু এখন আমরা একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।"

বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল—ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করছে, যা ভারতের আগ্রাসন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।