Logo

রাজনীতি    >>   তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলায় সাজার রায় স্থগিত

তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলায় সাজার রায় স্থগিত

তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলায় সাজার রায় স্থগিত

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজার রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে অর্থ পাচারের মামলায় খালাস দিয়েছিল। তবে দুদক সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট তার খালাসের রায় বাতিল করে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।

গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজার রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেয়। একই সঙ্গে এই রায়ের প্রেক্ষিতে মামুন আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হন। আপিল বিভাগের শুনানিতে আদালত তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজার রায় স্থগিত করে।

এ মামলাটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি জিতেছেন। তবে অর্থ পাচারের এই মামলাটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা।

বিচারিক আদালত প্রথমে তারেক রহমানকে খালাস দিলেও সেই রায় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তখন বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর হাইকোর্টে আপিল হলে তাকে সাজা দেয়া হয়।

তারেক রহমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, যিনি দাবি করেন যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারেক রহমানের অন্যান্য আইনজীবী, যেমন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন, মামলার বিভিন্ন আইনি দিক তুলে ধরেন।

তারেক রহমানের আইনজীবীদের মতে, তিনি দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন এবং তার নেতাকর্মীরা তাকে ফিরে পেতে উদগ্রীব। আপিল বিভাগের এই আদেশ তার বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হতে পারে।