Logo

অপরাধ    >>   ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১১ জনসহ ১২ জন গ্রেপ্তার

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১১ জনসহ ১২ জন গ্রেপ্তার

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১১ জনসহ ১২ জন গ্রেপ্তার

 

রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচির চলাকালীন গুলি ও হামলার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে ১১ জন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। পুলিশ এবং র‍্যাব গত বুধবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয়

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া, পল্লবী থানার যুবলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ওরফে সুজন, সি ব্লকের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন খান, এবং আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাবলী

ডিএমপি সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট পল্লবীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়, যার ফলে মো. ইমরান হোসেন গুরুতর আহত হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইমরানের মায়ের করা হত্যা মামলায় তদন্তের সময় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে, ৫ আগস্ট খিলগাঁওয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে সাব্বির হোসেন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন, যিনি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। তার করা মামলায় দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার হন।

অন্যান্য ঘটনার বিস্তারিত

গত ৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসের সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর গুলি চালায়, যার ফলে শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। ইমরান হোসেনের মায়ের করা হত্যা মামলায় এ ঘটনার তদন্তের সময় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে শনাক্ত করা হয়।

এছাড়া, গতকাল কলাবাগান এলাকা থেকে যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার

এছাড়া, মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সারোয়ার খালিদকে (৫৪) র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে, যিনি আজ বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ধরা পড়েন।

এ ঘটনার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।