Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্পের নীতিতে আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত

ট্রাম্পের নীতিতে আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত

ট্রাম্পের নীতিতে আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং তার প্রতিশ্রুত নীতিমালা আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত তৈরি করেছে। কর্পোরেট কর কমানো এবং আমদানি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা আইরিশ অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রায় এক হাজার মার্কিন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবদান ৪১ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের রফতানির অন্যতম বৃহৎ বাজার। ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে আয়ারল্যান্ড ৭৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য রফতানি করেছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, কর্পোরেট করের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াবেন। তার আরও পরিকল্পনা ছিল আয়ারল্যান্ডে কার্যক্রম চালানো মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প যদি এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেন, তবে আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। আয়ারল্যান্ডের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এবং রফতানি শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আয়ারল্যান্ডের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেমন ফেসবুক, অ্যাপল, ইনটেল, মাইক্রোসফট ও গুগল, এ নীতির ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে এই প্রভাব আরও তীব্র হবে।

একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলেন, "ট্রাম্পের আমদানি শুল্কনীতি আয়ারল্যান্ডের আইটি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদি বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের নীতিমালা আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে।"

মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষে ট্রাম্পের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় কর্পোরেট কর হ্রাসের মতো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তার জন্য খুব বেশি বাধা থাকবে না। এই সম্ভাবনা আইরিশ অর্থনীতিবিদদের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থায় আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও শঙ্কিত। তারা মনে করছেন, ট্রাম্পের নীতির কারণে কর্মসংস্থান এবং আয়ের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলো যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে আয়ারল্যান্ডের রফতানি খাত, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও পণ্য রফতানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert


TOP