Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি: গির্জা ও স্কুলেও অভিযান

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি: গির্জা ও স্কুলেও অভিযান

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি: গির্জা ও স্কুলেও অভিযান

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার পরই অভিবাসন নীতিতে নজিরবিহীন পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে গির্জা ও স্কুলের মতো সংবেদনশীল এলাকায় অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত সচিব বেঞ্জামিন হাফম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অপরাধীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় উপাসনালয়ে লুকিয়ে থাকলেও তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।”

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসনের সময়কালের সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ, ২০১১ সালে সংবেদনশীল এলাকাগুলো থেকে অভিবাসীদের গ্রেফতারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, যা বাইডেন প্রশাসনও বজায় রেখেছিল।

ট্রাম্প তার উদ্বোধনী ভাষণে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দ্রুত একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

১. জন্মগত নাগরিকত্বের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ।

২. মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা।

৩. সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে নতুন আদেশ জারি।

ট্রাম্প প্রশাসন শপথ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বাইডেন যুগে চালু হওয়া সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বাতিল করেছে। এই অ্যাপটি অভিবাসীদের জন্য একটি বৈধ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেতেন। তবে অ্যাপ বাতিলের ফলে বিপাকে পড়েছেন লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী।

মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর পিয়েদ্রাস নেগ্রাসে অপেক্ষারত হন্ডুরাসের ডেনিয়া আলভারাডোর অভিজ্ঞতা এর একটি উদাহরণ। তিনি দুই সন্তান নিয়ে হত্যার হুমকি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বাতিল হওয়ায় তার স্বপ্ন ভেঙে গেছে।

বাইডেন প্রশাসন চালু করা এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ লগইন করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতেন। কিন্তু অ্যাপের প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এটি সমালোচিত ছিল। তারপরও এটি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গির্জা, স্কুলসহ সংবেদনশীল এলাকাতেও অভিযান চালাবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাফম্যান বলেন, “আমরা অভিবাসীদের ধরতে কোনো এলাকা এড়িয়ে যাব না।” এই নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই ধরনের নীতি অভিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

অন্যদিকে ট্রাম্প সমর্থকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert