যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউন এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস
- By Jamini Roy --
- 21 December, 2024
যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, বা ‘শাটডাউন’, এড়াতে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ গতকাল শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। এই বিলের মাধ্যমে বর্তমান সরকারি অর্থায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন অর্থায়ন চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, যাতে সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে। তবে, বিলটি এখন সিনেটে অনুমোদনের জন্য পাস হওয়া প্রয়োজন, এবং সিনেটের ডেমোক্র্যাটরা এটি পাস করলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতে স্বাক্ষর করবেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে।
এই বিলটি ১৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নের মেয়াদ বাড়াবে এবং বিভিন্ন দুর্যোগে আক্রান্ত রাজ্যগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার এবং কৃষকদের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করবে। তবে, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে এই বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা বাড়াবে না, যা এক গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হতে পারে। হাউস স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, আগামী বছর রিপাবলিকানরা উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে সরকারি ব্যয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকবেন, ফলে এই সংশোধন আরও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত অর্থবিলটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়। ৩৪ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন, ফলে ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও এটি পাস করতে পারেনি। এই বিলটি পাস হতে ব্যর্থ হলে আজ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার যদি অর্থায়ন না পায়, তবে সরকারি সেবা এবং কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম শাটডাউন হলে বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হতে পারে, যা আসন্ন বড়দিনের ভ্রমণকে প্রভাবিত করবে। এছাড়া, ২০ লাখের বেশি সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যদিও সামাজিক সুরক্ষা এবং মেডিকেয়ার সুবিধা চলতে থাকবে, তবে অন্যান্য সুবিধার বিতরণ স্থগিত হতে পারে।
একটি শাটডাউন হলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার অধীনে বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমে ব্যাপক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। সরকারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হয়তো অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলোর সংকট সৃষ্টি হবে। বিশেষত, সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এবং সেবা খাতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
বিলটি এখন সিনেটের সামনে, যেখানে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে বিলটি পাস হলে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাতে স্বাক্ষর করবেন এবং শাটডাউন এড়াতে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। তবে, এই প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।