সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ডিম ও ইলিশের দাম বেড়েছে
- By Jamini Roy --
- 27 November, 2024
বাজারে ডিম ও ইলিশের অতিরিক্ত দামের জন্য সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ২৭ নভেম্বর, বুধবার, তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার জানান, বর্তমান সময়ে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১,৫০০ টাকার ওপরে থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য ইলিশ কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ইলিশের দাম বাড়ানোর জন্য সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন ব্যবসাই দায়ী।"
এছাড়া, মৎস্য উপদেষ্টা জানালেন, চলতি বছরে ইলিশের প্রজনন হার বেড়ে ৫৪ শতাংশ হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ ছিল, তবে এই বছর দুর্গাপূজার সময় ভারতে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে বাস্তবে ভারতে মাত্র ৬৬৫ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে।
ডিমের বাজার পরিস্থিতি নিয়েও ফরিদা আখতার মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যার কারণে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য সরবরাহে হস্তক্ষেপ করেছে, ফলে বাজারে দাম বেড়ে যায়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “ডিমের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়ানোর পেছনে সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।”
এছাড়া, ডিম আমদানির ঘোষণা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ফরিদা আখতার জানান, ডিম আমদানির ফলে দেশের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এবং আমদানি করা ডিমের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে, যা পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বিপজ্জনক হবে।