Logo

অর্থনীতি    >>   সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে অগ্রাধিকার নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে অগ্রাধিকার নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে অগ্রাধিকার নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

বাংলাদেশের কৃষি খাতের অন্যতম মূল উপকরণ সার। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সারের সহজলভ্যতা এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে, আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকার ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন কমিয়ে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই নতুন নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে সারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে। সারের এলসি খোলায় উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি মার্জিন হার শিথিল করার মাধ্যমে আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন থেকে উদ্যোক্তারা কমপক্ষে ২ থেকে ৫ শতাংশ মার্জিন দিয়েই সার আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার সুযোগ পাবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার আকারে এই নির্দেশনা দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী, সার আমদানি করার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিন দিতে হতো, যা অনেকের জন্যই আর্থিকভাবে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। সারের উচ্চ মূল্য এবং বাজারে সরবরাহের সমস্যা কৃষক সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছিল।

এই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার ফলে, সারের সরবরাহে আরও শৃঙ্খলা আসবে এবং কৃষকেরা সহজেই সুলভ মূল্যে সার সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এলসি খোলার নিয়মের কারণে সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার সম্ভাবনা বাড়বে এবং দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।