ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত: ড্রোন হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযানে অগ্নিকুণ্ড
- By Jamini Roy --
- 30 January, 2025
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে উভয় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন লেগে যায় এবং বেশ কিছু অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার স্থল অভিযানে নতুন অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ২৯ জানুয়ারি রাতে ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে একশটিরও বেশি ড্রোন হামলা চালায়। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্র। হামলার ফলে বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরে যায় এবং রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের নিক্ষিপ্ত বেশিরভাগ ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে যেসব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের ধ্বংসাবশেষ থেকেও বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এরপরই রাশিয়াও পাল্টা আক্রমণ চালায়। রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে একশর বেশি ড্রোন ছোড়ে। ইউক্রেনের দাবি, তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৬৫টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। পাশাপাশি একটি শিল্প কারখানা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ড্রোন হামলার পাশাপাশি রাশিয়ার স্থল অভিযানের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, তাদের বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে।
মস্কোর দাবি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলে তীব্র সামরিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং নতুন এলাকা দখল করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনারা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ইউক্রেন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ঘাটতিতে পড়েছে। পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নতুন অর্থায়নের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, জরুরি সামরিক প্রকল্পগুলো চালিয়ে নিতে ইউক্রেনের জনগণের অর্থায়নের ওপর নির্ভর করতে হবে। যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।