ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবী বরখাস্ত

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে কর্মরত এক ডজনেরও বেশি আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন। এ আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি উচ্চ-প্রোফাইল ফৌজদারি মামলার তদন্তে সক্রিয় ছিলেন। বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কার্যকর করা হয়।

বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরি এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মনে করেন, এই আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনিক এজেন্ডা বিশ্বস্তভাবে বাস্তবায়নে অযোগ্য। এ কারণেই তাদের আর বিচার বিভাগে রাখা সম্ভব নয়।

বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা সাবেক বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে কাজ করছিলেন। তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর মামলার তদন্ত করছিলেন।
১. সরকারি গোপন নথি সরানো।
২. ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলানোর চেষ্টা।

ম্যাকহেনরির বরখাস্ত পত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তের ন্যায্যতা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগেই বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে পদত্যাগের হুমকি দেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, "ক্ষমতা নেওয়ার দুই সেকেন্ডের মধ্যেই জ্যাক স্মিথকে সরিয়ে দেব।" এই হুমকির কিছুদিন পরই জ্যাক স্মিথ পদত্যাগ করেন।

এরপর বরখাস্ত করা হয় তার দলের ১২ জনেরও বেশি আইনজীবীকে। তবে ঠিক কারা বরখাস্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

এই বরখাস্তের ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটেছে যখন ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই বিচার বিভাগের ২০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পুনর্নিয়োগ করেছে। নতুনভাবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন শীর্ষ নীতিশাস্ত্র কর্মকর্তা ব্র্যাডলি ওয়েইনশাইমার এবং পাবলিক দুর্নীতি বিভাগের সাবেক প্রধান কোরি আমন্ডসন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিচার বিভাগ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগের দুটি মামলাই গত বছরের নভেম্বর থেকে স্থগিত হয়ে আছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ট্রাম্প কোনো অভিযোগ স্বীকার করেননি।