ইরানের সামরিক মহড়া: শক্তি প্রদর্শনে শতাধিক হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং বিশেষ ইউনিট
- By Jamini Roy --
- 28 January, 2025
ইরান আবারও তাদের সামরিক শক্তির প্রদর্শন করল। দেশের পশ্চিমাঞ্চল কেরমানশাহ প্রদেশের কাসর-ই শিরিন এলাকায় রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ইরানের সেনাবাহিনীর পরিচালনায় বিশাল সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় শতাধিক হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, ড্রোন এবং বিশেষ বাহিনী অংশ নেয়। ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো বাহিনীর প্রস্তুতি বাড়ানো।
মহড়ার প্রথম পর্যায়ে ১০০টিরও বেশি হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মডেল হলো ২০৫, ২০৬, ২০৯ এবং ২১৪। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকা এসব হেলিকপ্টার আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুনরায় চালু করা হয়েছে। সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নে ইরানের এ পদক্ষেপ তাদের সামরিক শক্তির নতুন দিক উন্মোচন করেছে।
এই মহড়ায় ইরানের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিশেষ ইউনিট অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল ৩৫তম বিশেষ ব্রিগেড, ৫৫তম এয়ারবোর্ন ব্রিগেড, ১৮১তম সাঁজোয়া ব্রিগেড, সেনাবাহিনীর এভিয়েশন ইউনিট, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যাটালিয়ন এবং ড্রোন ইউনিট।
মহড়ায় সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থল বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স হেইদারি এবং ডেপুটি অপারেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কারিম চাশাক। তারা মহড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে জানান, এটি ইরানের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও প্রস্তুতির বহিঃপ্রকাশ।
মহড়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেন, ‘‘দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই এই মহড়ার মূল লক্ষ্য।’’
স্থল বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স হেইদারি বলেন, ‘‘এই মহড়া বিশ্বের যেকোনো পরাশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ। ইরানের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত।’’
ডেপুটি অপারেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কারিম চাশাকের মতে, ‘‘আমাদের এই সামরিক মহড়া প্রতিরক্ষা খাতে ইরানের অগ্রগতির উদাহরণ। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং শক্তিশালী সংগঠনের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম।’’
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সামরিক মহড়া শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নয়, বরং এটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতি একটি বার্তা। ইরানের এই উদ্যোগ তাদের সামরিক প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ এবং অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।