Logo

আন্তর্জাতিক    >>   তেহরানে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক নিহত, বন্দুকধারী আত্মহত্যা

তেহরানে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক নিহত, বন্দুকধারী আত্মহত্যা

তেহরানে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক নিহত, বন্দুকধারী আত্মহত্যা

ইরানের রাজধানী তেহরানে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক ভয়াবহ হামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে তেহরানের সুপ্রিম কোর্ট সদর দফতরের সামনে। বন্দুকধারীর গুলিতে আরও একজন বিচারক আহত হন। হামলার পর বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই আত্মহত্যা করেন।

সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ইরানের বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সশস্ত্র হামলাকারী পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত দুই বিচারক ছিলেন সন্ত্রাসবাদ, গুপ্তচরবৃত্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার অপরাধ দমনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সাহসী ব্যক্তি।

বিচার বিভাগ আরও জানিয়েছে, নিহত দুই বিচারক হলেন সুপ্রিম কোর্টের ৩৯ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতুলইসলাম আলী রাজিনি এবং ৫৩ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতোলেসলাম মোহাম্মদ মোকিসেহ।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সশস্ত্র হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বা তিনি সুপ্রিম কোর্টে কোনো অভিযোগ জমা দেননি।

আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, বন্দুকধারী ছিলেন তেহরানের বিচার বিভাগের একজন কর্মচারী। তবে হামলার পর বিচার বিভাগ তাকে একজন গুপ্তচর হিসেবে উল্লেখ করেছে।

৭১ বছর বয়সি আলী রাজিনিকে এর আগেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে মোটরসাইকেলে থাকা একদল হামলাকারী তার গাড়িতে একটি চৌম্বকীয় বোমা স্থাপন করে। সেই হামলায় তিনি আহত হন। তবে এবার হামলাটি প্রাণঘাতী হলো তার জন্য।

এই ঘটনার ফলে ইরানের বিচার বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা দেশটির বিচার ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। এ হামলার পেছনে রাজনৈতিক, সন্ত্রাসবাদী, বা ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য জড়িত আছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।

এ ধরনের হামলা ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের মতো উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানেও এমন অনুপ্রবেশ কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ইরানের জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এই ঘটনা নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert