ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই
- By Jamini Roy --
- 18 January, 2025
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার মস্কোতে একটি ঐতিহাসিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেছেন। ৪৭ ধারাবিশিষ্ট এই চুক্তি দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা করছে।
ক্রেমলিন প্রাসাদে এই চুক্তির স্বাক্ষর পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এবং পুতিন বলেছেন, এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির মাধ্যমে তেহরান এবং মস্কোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে। দুই প্রেসিডেন্ট একমত হয়ে জানিয়েছেন যে, এ চুক্তি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসবে এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
দু'দেশের কর্মকর্তাদের মতে, পূর্ববর্তী চুক্তিগুলোর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তাই নতুন চুক্তির মাধ্যমে আরও ব্যাপক এবং কার্যকরী সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
ইরান এবং রাশিয়া বিশেষ করে মার্কিন আধিপত্যের বিরোধিতা করতে একযোগে কাজ করার বিষয়টিতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছে। দু'দেশই একটি বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে বিশ্বের সব দেশ সমান মর্যাদার অধিকারী হবে।
এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির মাধ্যমে, ইরান এবং রাশিয়া নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই চুক্তি তাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ভিত্তি শক্তিশালী করবে, যা শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে না, বরং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাদের প্রভাব বাড়াবে।
বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই চুক্তিতে রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সব দিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই চুক্তি কেবল অর্থনৈতিক সহযোগিতাই নয়, বরং প্রতিরক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই চুক্তি দুই দেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই আরো দৃঢ় করবে, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও গভীর প্রভাব ফেলবে।