শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা
- By Jamini Roy --
- 10 January, 2025
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। মোবাইল ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁয় খাওয়া, ফল, ডিটারজেন্ট, ওষুধ, বিমানে ভ্রমণসহ নানা খাতে খরচ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা হলেও ব্যবসায়ী মহলে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করায় বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারেও ব্যয় বাড়বে।
অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিস্কুট, আচার, চাটনি, টমেটো কেচাপ, সাবান, ডিটারজেন্ট, ফলের রস এবং লেমিনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া ফল আমদানি ও সুপারির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দাম আরও বাড়বে।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন সীমা ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ হলেই টার্নওভার কর দিতে হবে। এর ফলে ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপরও শুল্কের বোঝা বাড়বে।
বিমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা এবং ইউরোপে ভ্রমণে তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষও শুল্ক বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচের চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে। রেস্তোরাঁ মালিকরা ইতোমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হলেও এর ফলে ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে পারেন। এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।