খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিল শুনানি মুলতবি
- By Jamini Roy --
- 09 January, 2025
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। তবে মামলার আরেক আসামির আপিল বিচারাধীন থাকায় শুনানি আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়।
শুনানি শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে। মাঝে ৩০ মিনিটের বিরতি দেয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে আইনজীবীরা আদালতে জানান, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আনা মামলাটি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীরা দাবি করেন, মামলার নথিপত্রে কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম বা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর আপিল বিভাগ জানায়, মামলার আরেক আসামির আপিল এখনও শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়নি। তাই পরবর্তী শুনানি ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ বেগম জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এবং তার ১০ বছরের সাজা স্থগিত রাখে। সর্বোচ্চ আদালত আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রেক্ষাপট তৈরি হয় শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে সাজা মওকুফের মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়। বিএনপির নেত্রী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এরপর দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা বাতিলের জন্য শুরু হয় তার আইনি লড়াই। বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, ‘বেগম জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না। তিনি আদালতের মাধ্যমে সুবিচার প্রত্যাশা করেন।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিএনপি বরাবরই দাবি করে আসছে যে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে সাম্প্রতিক মুক্তির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।