কনকনে শীতে জমে গেছে কাশ্মীরের ডাল লেক
- By Jamini Roy --
- 22 December, 2024
কাশ্মীরের বিখ্যাত ডাল লেক পুরোপুরি জমে গেছে তীব্র ঠান্ডার কারণে। চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে মাইনাস ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। এই শীতল আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, আর শ্রীনগর শহরে গত পাঁচ দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা।
ডাল লেক কাশ্মীরের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। তবে বর্তমানে এটি বরফের চাদরে ঢাকা, যার ফলে নৌকা চলাচল একপ্রকার বন্ধ। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাইপ লাইনের পানি জমে গেছে। এমনকি কিছু মোটর গাড়িও বরফে ঢেকে অকেজো হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, পানির সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় দৈনন্দিন কাজকর্মে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আজ সকালে আমরা প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে দিন শুরু করেছি। ডাল লেক পুরোপুরি জমে গেছে। কাশ্মীরে এমন ঠান্ডা আমরা অনেক বছর পর দেখছি।"
শ্রীনগরে বর্তমানে যে শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। আবহাওয়াবিদদের মতে, তীব্র ঠান্ডার এ ধারা অব্যাহত থাকবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শীতের এই প্রকোপে শুধু ডাল লেক নয়, বরফে ঢেকে গেছে কাশ্মীরের অন্যান্য অঞ্চলও।
পর্যটকরা কাশ্মীরের এমন দৃশ্য উপভোগ করলেও স্থানীয়দের জন্য এটি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বরফের কারণে যাতায়াত এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম অনেকটাই থমকে গেছে। তবে কিছু পর্যটক শৈত্যপ্রবাহে বরফের সৌন্দর্য দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
শুধু কাশ্মীর নয়, ভারতের উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও শীতের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা উষ্ণ থাকার জন্য রাস্তার পাশে আগুন পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহে স্কুল, অফিস এবং পরিবহন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে পরবর্তী কয়েকদিন কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবনযাপন আরও কঠিন হতে পারে। লোকজনকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এই অস্বাভাবিক শীতল আবহাওয়া কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুললেও জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কাশ্মীরের মানুষ তাদের ঐতিহ্যগত দক্ষতায় শীত মোকাবিলার চেষ্টা চালালেও তীব্র ঠান্ডার চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।