Logo

আন্তর্জাতিক    >>   সিরিয়াকে নতুন সৌদি আরব করার স্বপ্ন: বিদ্রোহী নেতা জোলানির

সিরিয়াকে নতুন সৌদি আরব করার স্বপ্ন: বিদ্রোহী নেতা জোলানির

সিরিয়াকে নতুন সৌদি আরব করার স্বপ্ন: বিদ্রোহী নেতা জোলানির

সিরিয়াকে আরেক সৌদি আরবে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখছেন হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমেদ আল শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ জোলানি। বাশার আল আসাদের সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে এই বিদ্রোহী সংগঠন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আশারক আল আওসাতকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জোলানি বলেন, "সিরিয়ার মাটিকে ব্যবহার করে ইরান আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছিল। কিন্তু আসাদের পতনের পর ইরান এখন সংকটে পড়েছে। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, যুদ্ধ-বিগ্রহের দিনগুলো এখন অতীত। দামেস্কের মাটিতে নতুন করে রক্তপাত বা সংঘাতের অধ্যায় আর কখনো ফিরে আসবে না। হায়াত তাহরির আল শাম নতুন সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার সিরিয়ার শাসনভার পরিচালনা করলেও সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হায়াত তাহরির আল শাম। পালিয়ে যাওয়া আসাদ সরকারের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা কর্মীরা অস্ত্র সমর্পণ করেছে এইচটিএসের কাছে। সামরিক সমঝোতার মাধ্যমেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

একই সময়ে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের ড্রোন হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারীও রয়েছেন। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কোবানি শহরের একটি গমের গুদামে হামলা চালিয়েছে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীরা। মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গোষ্ঠী এই অভিযোগ তুলে জানায়, এই হামলায় দেশটির খাদ্য সরবরাহ চেইনও ঝুঁকিতে পড়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বর্তমানে ইসরাইলি সেনাদের দখলে রয়েছে। হার্মন পর্বত ও কুইনেত্রা শহরের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সরিয়ে অবস্থান নিয়েছে ইসরাইল।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সেনারা দীর্ঘ সময়ের জন্য সিরিয়ায় অবস্থান করবে। নতুন সিরিয়ার স্বাধীনতার আনন্দের মাঝে ইসরাইলি সেনাদের উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের মধ্যে শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, এই অবস্থান সিরিয়ার জনগণের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে।

জোলানির নেতৃত্বে সিরিয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলেও রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা এখনো চরমে। শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্য অর্জন করতে বিদ্রোহী নেতাদের সামনে রয়েছে দীর্ঘ পথ।