Logo

অর্থনীতি    >>   খরচ কমিয়ে ব্যবসা সহজ করার প্রতিশ্রুতি: উপদেষ্টা

খরচ কমিয়ে ব্যবসা সহজ করার প্রতিশ্রুতি: উপদেষ্টা

খরচ কমিয়ে ব্যবসা সহজ করার প্রতিশ্রুতি: উপদেষ্টা

বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার জন্য এবং খরচ কমানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনীতির ব্যবসায়িকীকরণ এভাবে চলতে থাকলে মাঝে মাঝে ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়ার ক্ষেত্রেও দ্বিধা হয়। তবে, তিনি আশাবাদী যে শিগগিরই খরচ কমিয়ে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করে সবার জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

এছাড়া, তিনি মন্তব্য করেন যে, "দেশে যদি ক্রিমিনাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়, তবে ভিসি হওয়ার জন্য যোগ্য লোকের দীর্ঘ লাইন হবে।" এর মাধ্যমে তিনি দেশের চাকরি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ নিয়ে একটি হালকা মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি দেশের মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেন। তিনি জানান, শুল্ক কমানোর মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে নামানো সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নতুন মুদ্রা ছাপানোর মতো কিছু করেনি, এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, কয়েকটি ব্যাংক এখনও গ্রাহকদের টাকা ঠিকমতো দিতে পারছে না, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সহায়তা করছে। তিনি আশাবাদী, ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি সুস্থ ব্যাংকিং খাত পাবে। বর্তমানে, ১০টি ব্যাংকের সম্পদ হিসাবের অডিট শুরু হয়েছে, এবং পর্যায়ক্রমে সব ব্যাংকেই এ ধরনের অডিট করা হবে।

বেক্সিমকো প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, কোম্পানি বন্ধ করতে নয় বরং তা সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ডেনসিটির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, "বাংলাদেশে এক ব্রাঞ্চ থেকে অন্য ব্রাঞ্চের দূরত্ব বিবেচনায় ব্যাংকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।" এছাড়া, তিনি আরও জানান, বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ চলছে।

এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ব্যাঙ্কিং খাতে আরও দক্ষতা আনা সম্ভব হবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।