Logo

অর্থনীতি    >>   দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন করে স্বর্ণের এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাজুসের বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন দামের কার্যকারিতা শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের জন্য এই মূল্য ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ক্ষেত্রে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ৫২০ টাকা। এটি চলতি বছরে স্বর্ণের দামে ধারাবাহিক পরিবর্তনের অংশ, যেখানে সারা বছর ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে প্রতিনিয়ত স্বর্ণের মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। চলতি বছরে এটি ছিলো ২৮ তম মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার দামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভরিতে ৬৪১ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪১ টাকা। এছাড়া, ২১ ক্যারেট রুপার প্রতি ভরি দাম ২ হাজার ৬২৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার প্রতি ভরি দাম ১ হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দেশের বাজারে রুপার দামেরও সর্বোচ্চ।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার-নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এই বছরের মধ্যে স্বর্ণের দাম একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সবশেষ গত ২২ অক্টোবর এক ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা, যা ২৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছিল। এর মাত্র আট দিন পর আবারও স্বর্ণের দামে এই বৃদ্ধি এলো। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বর্ণের আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধি, বৈশ্বিক অর্থনীতির ওঠানামা, মুদ্রাস্ফীতি, এবং মার্কিন ডলারের মূল্যবান্ধব হওয়ার কারণে দেশে স্বর্ণের দামে এই দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রাখতে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়েছে।

বাজুস জানিয়েছে, চলতি বছরে ইতোমধ্যেই ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ১৭ বার দাম কমানো হয়েছে। এই মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে বাজুস দেশের বাজারে স্বর্ণের চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়।