Logo

অর্থনীতি    >>   আয়ের চেয়ে ব্যয় তিনগুণ, বছরে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ শোধের বোঝা কর্ণফুলী টানেলের

আয়ের চেয়ে ব্যয় তিনগুণ, বছরে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ শোধের বোঝা কর্ণফুলী টানেলের

আয়ের চেয়ে ব্যয় তিনগুণ, বছরে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ শোধের বোঝা কর্ণফুলী টানেলের

প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কর্ণফুলী টানেল এখন সরকারের জন্য বড় একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যাশিত যানবাহনের চাপ না থাকায় আয়ের চেয়ে ব্যয় তিনগুণ বেশি হয়ে যাচ্ছে। নির্মাণের আগে জরিপে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন ২০ হাজারেরও বেশি গাড়ি টানেলটি ব্যবহার করবে, কিন্তু বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন মাত্র সাড়ে ৪ হাজার গাড়ি চলাচল করছে। এতে দৈনিক আয় হচ্ছে মাত্র ১২ লাখ টাকা, অথচ টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ খরচই দিনে ৩৭ লাখ টাকারও বেশি। তার ওপর চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে।

বার্ষিক ঋণ শোধ ৩০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, গত অর্থবছর থেকেই কর্ণফুলী টানেলের ঋণ শোধ শুরু হয়েছে। বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যা এই প্রকল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

পরিকল্পনার ঘাটতি ও বাস্তবায়নের সমস্যা

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, টানেলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা গেলে, এর পাশে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতে পারত। এসব কারখানার পণ্যবাহী যানবাহন টানেল ব্যবহার করত, ফলে টানেলটি লাভজনক হতে পারত। তবে, সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় এই টানেলটি এখন অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

অন্য প্রকল্পগুলোরও ক্ষতি

শুধু কর্ণফুলী টানেল নয়, পদ্মা রেল প্রকল্পসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পও একই রকম ক্ষতির মুখে পড়েছে। ৩৯ হাজার কোটির পদ্মা রেল প্রকল্প লাভজনক হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সহজলভ্য বাস এবং ট্রেনের ভাড়ার পার্থক্যের কারণে ফরিদপুর ও ভাঙ্গার মানুষ বাসকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ফলে নতুন রেলপথে ট্রেন চলাচলের পরিমাণ আশানুরূপ নয়।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা

মাতারবাড়ী ৫১ হাজার কোটির বিদ্যুৎ প্রকল্পেও খরচ অনেক হলেও উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কয়লা আমদানির সমস্যা এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হুমকির মুখে। 

দোহাজারী-ঘুমধুম রেলপথেও ক্ষতি

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, যাত্রী স্বল্পতার কারণে প্রকল্পটি ক্ষতির মুখে। পরিকল্পনা অনুযায়ী দৈনিক ২৬টি ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও, বর্তমানে মাত্র ৬টি ট্রেন চলাচল করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্রকল্পের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডি যথাযথভাবে করা হয়নি, যা আজকের এই ক্ষতির মূল কারণ।

 





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert