Logo

আন্তর্জাতিক    >>   নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে বাংলাদেশিদের দুর্গাপূজা ঐতিহ্য ও সম্প্রতির উদযাপন

নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে বাংলাদেশিদের দুর্গাপূজা ঐতিহ্য ও সম্প্রতির উদযাপন

নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে বাংলাদেশিদের দুর্গাপূজা ঐতিহ্য ও সম্প্রতির উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করছেন বাংলাদেশি অভিবাসীরা। বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ এবং হিন্দু কমিউনিটি অব নিউইয়র্কের আয়োজনে ৫ ও ৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শরৎকালের দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে দুর্গাপূজা উৎসব আয়োজন করা হয়, যেখানে বেঙ্গলি ক্লাবের আয়োজক দিনেশ মজুমদারসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন টাইম স্কয়ার দুর্গাপূজা কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ সাহা, প্রেসিডেন্ট লেখক ও সাংবাদিক শিতাংশু গুহ, এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা জন্মভূমি সম্পাদক ও সেক্রেটারি রতন তালুকদার। এছাড়াও, অন্যান্য সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনের সদস্যরাও বিশেষভাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে শরৎকাল চলছে এবং সনাতন ধর্মের শাস্ত্রমতে, ৩ অক্টোবর থেকে নবরাত্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন হওয়ায় দেবী দুর্গা এবারের উৎসবে দোলায় চড়ে এসেছেন। দেবীপক্ষের নয় দিন ১২ অক্টোবর শেষ হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে শনিবার ও রবিবার এই ঐতিহাসিক পূজা আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।

হাজারো বাংলাদেশির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঐতিহাসিক এ আয়োজনের সাক্ষী হতে এসেছিলেন অন্যান্য ধর্মের মানুষ এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও। কিশোর-কিশোরীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উৎসবের প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বেঙ্গলি ক্লাবের সভাপতি দিনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, "দুর্গাপূজা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ইউনেসকোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়টি সারা বিশ্বের মানুষকে জানাতে আমাদের এ ঐতিহাসিক আয়োজন।" যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট, কানাডা, দুবাই ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূজারিরা এসে অংশ নিয়েছেন।

টাইম স্কয়ার দূর্গা পূজা নিউইয়র্ক ২০২৪ সম্পন্ন ।

অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ বাঙালি সংস্কৃতির গান-বাজনা উপভোগ করেছেন, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। টাইমস স্কয়ারে অনুষ্ঠিত দুর্গোৎসবের এই নতুন অধ্যায় বাংলাদেশি সংস্কৃতির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত, যা বিশ্ব দরবারে বাঙালির পরিচিতি আরও বৃদ্ধি করবে।