রফতানিতে চামড়া খাতের বিশাল সম্ভাবনা: অর্থ উপদেষ্টা
- By Jamini Roy --
- 06 October, 2024
আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ চামড়া খাতের বিশাল রফতানি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “চামড়া খাত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং রফতানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। গার্মেন্টস খাতের তুলনায় চামড়া শিল্পের একটি বড় সুবিধা হলো এর কাঁচামাল পুরোপুরি দেশীয়। পশু পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ খাতটি আরও বিকশিত করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চামড়া শিল্পকে রফতানির একটি বড় খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং এই খাতে দেশীয় কাঁচামালের সরবরাহ একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এ খাতের উন্নয়নে সহায়তা করলে আরও একটি খাতের অগ্রগতি হবে।” ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, “এই সম্ভাবনাময় খাতকে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে।”
তবে এ খাতের সমস্যা তুলে ধরে লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, “সাভারের সিইটিপি (সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) এখনও অসম্পূর্ণ থাকায়, আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পাচ্ছেন না দেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া খাতের পণ্যের মূল্য ৭০-৮০ শতাংশ কমে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “যদি সিইটিপির কাজ সম্পন্ন করা যায়, তবে ২০১৫ সালের মতো চামড়ার মূল্য আবারও বাড়তে পারে এবং রফতানিতে বিপুল আয় আসবে।”
এ সময় অর্থ উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, “দেশীয় কাঁচামাল ও প্রশিক্ষিত জনশক্তির সমন্বয়ে চামড়া খাতকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের রফতানি খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।”
সভায় উপস্থিত অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরাও রফতানিতে চামড়া খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের আহ্বান জানান।