কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুর রহমানের মৃত্যু: তদন্তের নির্দেশ, সেনা কর্মকর্তার প্রত্যাহার
- By Jamini Roy --
- 01 February, 2025
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুর রহমান (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, "হেফাজতে কোনো ধরনের নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে।"
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, "কুমিল্লায় পুলিশ তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে তার বাড়ি থেকে আটক করার পর তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।" তৌহিদুল ইসলামের পরিবার দাবি করেছে, তাকে যৌথ বাহিনী আটক করেছিল এবং পরে তার মৃতদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানো হয়।
এমতাবস্থায়, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।" সরকার ইতোমধ্যে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে এবং এগুলোর প্রতিবেদনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গঠনমূলক আলোচনা করা হবে।
তৌহিদুল ইসলামের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু গণমাধ্যমে জানান, "বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তৌহিদুলকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার দুপুরে পুলিশ জানায়, তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।" তিনি আরও জানান, হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদুলের লাশ দেখতে পান।
এদিকে, আজ সকালবেলা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, "এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির তদন্তের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।" সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।