স্বর্ণের দাম বাড়ল নতুন বছরে

নতুন বছরে প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। অন্যান্য ক্যারেটের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।

- ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা।

- ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা।

- সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর থেকে।

- ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা।

- ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা।

- সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা।

গত বছর, ২০২৪ সালে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম মোট ৬২ বার সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়, আর ২৭ বার কমানো হয়।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও রুপার বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।

- ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা।

- ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা।

- সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ফলে গহনার চাহিদা কিছুটা কমতে পারে, বিশেষত মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অপরদিকে, রুপার মূল্য অপরিবর্তিত রাখায় সাশ্রয়ী গহনা বা অলঙ্কারের ক্ষেত্রে রুপার চাহিদা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজুস জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে ওঠানামার কারণে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিই মূলত এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রেখেছে।