চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকছে না ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

আইসিসির বড় কোনো ইভেন্ট ছাড়া একসঙ্গে এত অধিনায়ককে দেখা যায় না। বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আসরে ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট সেই বিরল সুযোগ করে দেয়, যেখানে অংশগ্রহণকারী সব দলের অধিনায়ক একত্রিত হন, ছবি তোলেন এবং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকছে না এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন।

এছাড়া, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ক্রিকবাজের খবর অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত সূচির কারণে আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি অনুসারে, টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানে। সাধারণত এ ধরনের বৈশ্বিক আসরের আগে ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট এবং জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের আসরে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।

মূল কারণ হলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি।

- ইংল্যান্ড দল: বর্তমানে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। এই সিরিজ শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এরপর দলকে বিশ্রাম দিতে চায় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইংল্যান্ড দল ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পৌঁছাবে।

- অস্ট্রেলিয়া দল: তারা বর্তমানে শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছে এবং এই সফর শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে ৪ দিনের বিশ্রাম পাবে তারা। ফলে, ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতেও পারবে না দলটি।

অর্থাৎ, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যথাযথ সময়ে পাকিস্তানে উপস্থিত থাকতে পারছে না, যার ফলে ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

জিও সুপারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) উভয়েই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। তবে দুই বড় দলের অনুপস্থিতির কারণে সেটি বাতিল করতে হয়েছে।

ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসি বা পিসিবির কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়নি। যেহেতু দলগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাকিস্তানে আসতে পারছে না, তাই পুরো পরিকল্পনাই বাতিল করতে হয়েছে।

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান সফর করবেন না, যা আগেই জানা গিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারতীয় দল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাদের ম্যাচগুলো খেলতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া, পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়েও কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তবে আইসিসি ও পিসিবি আশ্বস্ত করেছে যে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হয়েছে।

যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে, তবে পুরো টুর্নামেন্ট ঘিরে উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে একটি বিশেষ আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে পিসিবি। তবে সেটি কতটা বড় পরিসরে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।