বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সফল সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেইফগার্ড’ সমাপ্ত

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেইফগার্ড-২০২৫’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে এই মহড়ার সমাপ্তি ঘটে। মহড়ায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন এবং যুদ্ধজাহাজে আরোহণ করে বিভিন্ন সমাপনী কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

সমুদ্র মহড়ার শেষ দিনে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মহড়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়সমূহ প্রত্যক্ষ করেন। নৌবাহিনীর কমান্ডার বিএন ফ্লিট তিন বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান এবং নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা রক্ষা, সংকটকালে সমন্বিত প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং সামুদ্রিক অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ করার লক্ষ্যেই প্রতিবছর এই মহড়া আয়োজন করা হয়। এবারের মহড়ায় সমুদ্রসীমায় সম্ভাব্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলার বিভিন্ন কৌশল অনুশীলন করা হয়।

এ বছর ‘এক্সারসাইজ সেইফগার্ড’-এ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ অংশ নেয়। এছাড়া, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস্ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

মহড়ার উল্লেখযোগ্য একটি দিক ছিল সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ, যা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিক সক্ষমতার প্রমাণ বহন করে। এছাড়াও, এই মহড়ায় নৌ যুদ্ধ কৌশল, আকাশ প্রতিরক্ষা, সাবমেরিন প্রতিরক্ষা, এবং জাহাজ থেকে জাহাজে যুদ্ধ অনুশীলন করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রমাগত আধুনিকায়নের মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ‘এক্সারসাইজ সেইফগার্ড’ মহড়া কেবল প্রতিরক্ষা কৌশল উন্নয়নের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি দেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নৌবাহিনীর এই বাৎসরিক মহড়া ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।