Logo

আন্তর্জাতিক    >>   গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করলো জার্মানি ও ফ্রান্স

গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করলো জার্মানি ও ফ্রান্স

গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করলো জার্মানি ও ফ্রান্স

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে জার্মানি ও ফ্রান্স কড়া ভাষায় তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, "সার্বভৌমত্ব ও সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের জন্য প্রযোজ্য। এটি কোনো দেশের আকার বা ক্ষমতার উপর নির্ভর করে না।"

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ নোয়েল ব্যারোট আরও কঠোর ভাষায় বলেছেন, "ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনই বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সার্বভৌম সীমান্ত লঙ্ঘনের কোনো প্রচেষ্টা মেনে নেবে না।"

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ট্রাম্প কানাডা, পানামা খাল, এবং গ্রিনল্যান্ড নিয়ে একাধিক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে তিনি বলেছিলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা অপরিহার্য।"

সবশেষ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প আবারও বলেন, "প্রয়োজনে সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে হলেও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।" তার এই মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগিদ ট্রাম্পের বক্তব্যকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, "গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, এবং ভবিষ্যতেও বিক্রি হবে না। এটি গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সম্পদ।" মুট এগিদ দীর্ঘদিন ধরে ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পরপরই তার বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গত মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ড সফর করেছেন। এই সফর গ্রিনল্যান্ড নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই সফরকে গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন।

এটি প্রথমবার নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদেও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তবে গ্রিনল্যান্ডের নেতারা ও ডেনমার্ক ট্রাম্পের সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

ট্রাম্পের সামরিক হুমকি ও বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে ডেনমার্ক, গ্রিনল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতায় রূপ নিতে পারে। তবে গ্রিনল্যান্ডের জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—তারা স্বাধীনতার পথে হাঁটছে, বিক্রির জন্য নয়। 





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert