যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন: ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
- By Jamini Roy --
- 23 January, 2025
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে ১,৫০০ সেনাসদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই সেনা মোতায়েন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সেনাসদস্যদের সঙ্গে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করাই এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য।
ট্রাম্প সোমবার (২০ জানুয়ারি) ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন। এক নির্বাহী আদেশে তিনি উল্লেখ করেন, “আমেরিকার সার্বভৌমত্ব আক্রমণের মুখে রয়েছে। গত চার বছর ধরে অবৈধ অভিবাসনের তৎপরতা আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।”
ট্রাম্পের এই আদেশে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে সীমান্ত এলাকার সম্পূর্ণ কার্যকরী নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করার কথা বলা হয়েছে।
মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েনকৃত সেনাসদস্যরা মূলত ‘আইন প্রয়োগকারী’ কোনো কাজে সরাসরি জড়িত থাকবে না। তবে তারা অনুপ্রবেশকারীদের আটকানো এবং অন্যান্য সীমান্ত অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবে। একজন সামরিক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, সৈন্যদের কাজ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং যেকোনো অনুপ্রবেশ রোধ করা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রচারণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা ছিল অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো। সীমান্তে সেনা মোতায়েনের এই পদক্ষেপ তার পূর্বঘোষিত এজেন্ডারই বাস্তবায়ন। অবৈধ অভিবাসন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ঘিরে নানা ধরনের বিতর্ক এবং সমালোচনা দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে কঠোর এবং অমানবিক বলে উল্লেখ করেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ অভিবাসন রোধে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং সীমান্ত নজরদারির জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার তার প্রথম মেয়াদের আলোচিত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।