
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ড্রোন হামলা: বন্ধ ইলেকট্রনিকস কারখানায় উৎপাদন
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার ভলগা নদী উপত্যকার চুভাশিয়া অঞ্চলে একটি ইলেকট্রনিকস কারখানা প্রাঙ্গণে দুটি ড্রোন হামলার পর উৎপাদন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩ শ কিলোমিটার (৮০০ মাইল) দূরের এই এলাকায় হামলাটি রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার অন্যতম গভীর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চুভাশিয়ার গভর্নর ওলেগ নিকোলায়েভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তিন বছরের বেশি সময়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে এটি অন্যতম ড্রোন হামলা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কারখানার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিকোলায়েভ আরও জানান, চুভাশিয়া অঞ্চলের রাজধানী চেবক্সারির একটি মাঠেও একটি ড্রোন পড়েছে। ড্রোনগুলোর আঘাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে জানিয়েছে, চুভাশিয়া অঞ্চলের আকাশে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, রাতভর রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মোট ৪৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইউক্রেন কতগুলো ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।
রাশিয়ান ও টেলিগ্রামের কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক সংবাদ চ্যানেলে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ড্রোন হামলার পর চুভাশিয়ার ভিএনআইআইআর কারখানায় আগুন ধরে যায়। ওই চ্যানেলগুলোর দাবি, ইলেকট্রনিকস কারখানায় যুদ্ধ সরঞ্জামের বিভিন্ন উপাদান উৎপাদন করা হয়। তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কিয়েভ বরাবরই বলে আসছে, রাশিয়ার অব্যাহত হামলার জবাবে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।